বাতাসে রুদ্রের গন্ধ
কবিতার সংজ্ঞা দেওয়া খুব কঠিন। যে লেখাটি সমকালের স্মৃতি বা স্বপ্নকে তুলে আনতে সক্ষম এবং একই সাথে সমকালকে অতিক্রমের যোগ্যতা রাখে তাকেই বোধহয় কবিতা বলা যেতে পারে। অবশ্য তা হবে কবিতার অন্যান্য ব্যাকরণের শর্ত সাপেক্ষে। — এভাবেই কবিতার সংজ্ঞা দিয়েছিলেন রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। [1] এবং নিজের জীবনে তার নিজের দেয়া সেই সংজ্ঞার প্রতিফলনও ঘটিয়েছেন যথার্থতার সাথেই। একই সাথে তিনি তার লেখায় তুলে এনেছেন সমকালীন স্মৃতি-স্বপ্ন-সাধ। আবার তার কবিতার মূর্ছনাই তার নিজস্ব সময়ের গণ্ডিকে অতিক্রম করে হয়ে উঠেছে সর্বকালীন। মৃত্যুর দুই যুগ পর আজও তাই রুদ্র আছে আমাদের ভেতরে, আমাদের বাহিরে। রুদ্র আছে আমাদের হৃদয় জুড়ে। আনুমানিক উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে তৎকালীন খুলনা জেলার বাগেরহাট মহকুমার রামপালের জঙ্গল কেটে বাসযোগ্য কর হয়েছে। অত্যন্ত সাহসী ও পরিশ্রমী কিছু মানুষের সদ্য সৃষ্টি জনবসতিটিকে ঠিক গ্রামও বলা যায় না। কাছেই দেশখ্যাত পীর খানজাহান আলীর মাজার। সেখানে প্রায়শই আসতেন তার ভক্ত ধোনাহ খা। পরে সেখানেই বসবাস করা শুরু করেন এবং কালক্রমে বিশাল ভূ-সম্পত্তির অধিকারী হন। পরবর্তীতে তার পুত্র মোংলাই হাজীর মেজো পুত্র শে...