স্বাতন্ত্রিক
মেয়েটি জন্মাতে চাইল।
আমি তার হৃদপিণ্ডের ভেতর হাত ঢুকিয়ে,
তার হৃদয়টাকে টেনে বের করে আনলাম।
সে উদ্ভাসিত হয়ে উঠল। সে আলোকপ্রাপ্ত হল। সে জন্মালো।
মেয়েটি আশ্রয় চাইল।
আমি সূর্যটাকে ঠেলে সরিয়ে অধিষ্ঠিত হলাম আর
সমগ্র আকাশ পটে আমি জড়িয়ে রাখলাম নিজস্বতাকে।
সে আশ্রয় নিল বুভূক্ষের মত। সে আঁখি লুকালো। সে আঁখিজল লুকালো।
মেয়েটি বিস্তৃতি চাইল।
আমি একটা, দু'টো, তিনটে করে তার একষট্টি হাজার বোধ
ছড়িয়ে দিলাম আকাশের গায়ে মেঘের মত করে।
সে বিস্তৃত হল নগরায়নের মত। সে বিস্তৃত হল পারমাণবিক বিস্ফোরণের মত।
মেয়েটি স্বাতন্ত্র চাইল।
আমি শ্রাবণকে তার মাঝে গেঁথে দিয়ে আমিত্বকে লুকোলাম
ধূসরের আড়ালে আর তাকে ঝরতে দিলাম স্বাতন্ত্রিকতায়।
কেউ মুগ্ধ হল। অজস্র মুগ্ধ হল। অজস্র শ্রাবণস্নানে রত।
আমি একাকীত্ব চাইলাম।
Comments
Post a Comment