তোকে আমার বড্ড হিংসে হয়
পাশাপাশি দু’জন হাটছি; তেপান্তরে
দিগন্তের শেষ সীমায় চোঁখ রেখে
মৌনতার অতল গহবরে আরোহন করে।
কখনও এগিয়ে চলি দুর্দমনীয়
কখনও বা হোঁচট খেয়ে পড়ি
আমি বলি, ‘এপথ পেরোবার নয়’।
তুই আমাকে টেনে তুলিস
আমায় দিস দিক-নির্দেশনা
তুই ক্লান্ত হোস
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকিস
ভয়ার্ত হোস
দ্বিধা আর দ্বন্দের মাজে দোদুল্যমান থাকিস
তারপর আবার উঠে দাড়াস
আমি অবাক চোঁখে চেয়ে দেখি
অনুভব করার চেষ্টা করি তোর প্রাণশক্তিকে
ব্যার্থ হই
তোকে কেবলই হিংসে করে যাই
টুকরো টুকরো ঘাত-প্রতিঘাত তোর সামনে এসে দাড়ায়
তুই একটা একটা করে সয়ে নিস সবগুলোকে
কখনও বিচলিত হোস
কখনও কষ্ট পাস
কখনও বা দু’হাতে শূণ্যে ছুড়ে ফেলতে চাস
যতটা কষ্ট আছে তোর মাঝে
যতটা আছে তোর চলার পথে
তারপর ডুকরে কেঁদে উঠিস
আমি ভাবি, তুই পরাজিত হয়েছিস
আমার ঠোটের কোণায় জমে ওঠে এক ক্রুর হাসি
ভাবি তোকে আমি পরাজিত করেছি
বুঝতে পারিনা কোন সমরে-
তবু প্রাণহীন অট্টহাসিতে ফেটে পড়ি
তারপর দেখি তুই উঠে দাড়াচ্ছিস
আমার ইচ্ছে সত্যি হয় না।
ধ্বংসস্তুপ ভেদ করে তুই আবার উঠে দাড়াস
আমি অবাক বিষ্ময়ে চেয়ে থাকি
আর তোকে হিংসে করে যাই
দুঃখগুলো একটা একটা করে তোর সামনে এসে দাড়ায়
তুই বুক পেতে দিস
তুই চিৎকার করে কাঁদিস
একটা একটা করে কষ্ট তোকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে
নিঃশেষিত করেছে তোর হৃদয়কে
তারপর একসময় নিজেই নিভে গেছে।
তুই এগিয়ে গেছিস পরেরটার জন্যে-
আর আমি?
একটা একটা করে তাদের জমিয়ে রেখেছি
কাউকে বুঝতে দিইনি আমার কষ্ট
সবাইকে দেখাতে চেয়েছি আমার শ্রেষ্ঠত্ব
ছোট ছোট স্ফুলিঙ্গগুলোকে জমিয়ে করেছি দাবানল
আজ তা যেন আমার অস্তিত্বকেই ধ্বংস করতে উদ্যত
এক পথহারা পথিকের মত আমি আশ্রয় খুঁজে ফিরছি
তোর হৃদয়ের বিশালত্বের মাঝে
কোন এককোণে এক ছোট্ট কুটির গড়ে তুলেছি
তুই হয়ত জানতেও পারিস নি
তোর নিষ্পাপ হৃদয়ের মাঝে
কতটা নীচ সত্ত্বা আত্মগোপন করে আছে
প্রতিদানে তোকে শুধু হিংসেই করে গেছি
যেটুকু হীনমন্যতা আমি ধারণ করেছিলাম
তোকে আঘাত করে আমি তা লুকোতে চেয়েছিলাম
তোকে ছলনার মাঝে বিভ্রান্ত দেখে
অট্টহাসিতে লুটিয়ে পড়েছি
তোকে ভেবেছি দুর্বল; হীন
ভেবেছি এবার তুই আমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবি
মেনে নিবি আমার শ্রেষ্ঠত্ব
এক উন্মত্ত হৃদয়কে নিয়ে আমি ছিলাম উদভ্রান্ত
তোর অতি-সাধারণ দেহের মাঝের অসাধারণ সত্ত্বাকে
আমি মেনে নিতে পারিনি।
আমি তোর সরলতাকে ভেবেছিলাম অহংবোধ
আমি তোর বিশ্বাসপ্রবনতাকে ভেবেছিলাম তোর দুর্বলতা
অথচ সে ছিল তোর মহত্ব
আনন্দ-কষ্ট-উচ্ছাস-ভালবাসা-সরলতা
আর একটুখানি সমবেদনা;
সত্যিকারের মানুষ কি এর থেকে বেশি কিছু?
স্রষ্টার কাছে যতটা আবেগ আর অনুভূতি ছিল
তার সবটুকু মিশিয়ে দিলেন তোর প্রতিটি রক্ত-কণিকায়
আমি এই নীচ আমাকে তোর মাঝে মিশিয়ে দিয়েছি
এটুকু পঙ্কিলতা কি ধারণ করতে পারবি না?
তোকে যে আমি বড্ড হিংসে করি।
যে স্নেহের মাঝে আমি খুঁজে পাই হীন কুটিলতা-
তুই তাকে দিয়েছিস পরম ভালবাসা।
যে আবেগকে আমি মনে করেছি দুর্বলতা-
তুই তাকে দিয়েই আমাকে জয় করেছিস।
আমি নরকাগ্নীর কীট!
তোর শ্রেষ্ঠত্ব কিকরে সহ্য করব?
তাই তোকে হিংসের থেকে বেশী কিছু দিতে পারিনি।
আমার ক্লেদান্ত মনের ওপর,
রাজকীয় আবরণে- শেষ্ঠত্ব পেতে চেয়েছিলাম
তার মাঝে তুই আবির্ভূত হলি স্বমহিমায়।
আমি তোর বশ্যতা স্বীকার করে নিলাম।
তুই হয়ত জানতেও পারিস নি-
এ হীণ হৃদয় তোর মাঝে মুক্তির শেষ পরশ খুঁজে পেয়েছে।
এই কুটিল হৃদয়টাকে কি মনের কোণায়
একটুখানি যায়গা দিতে পারিস না?
আমি যে বড্ড অসহায়!
আমার প্রতিটি অবলম্বন আমার সাথে কৃতঘ্নতা করেছে
আমি যে তার থেকে বেশি কিছুই পারিনা।
আমায় দুরে ঠেলে দিস না।
এই উদভ্রান্ত অস্তিত্ব আজ তোকে আকড়ে ধরে বাঁচতে চায়।
একটু আশ্রয় কি দিতে পারিস না আমায়?
তোকে যে আমার বড্ড হিংসে হয়!
দিগন্তের শেষ সীমায় চোঁখ রেখে
মৌনতার অতল গহবরে আরোহন করে।
কখনও এগিয়ে চলি দুর্দমনীয়
কখনও বা হোঁচট খেয়ে পড়ি
আমি বলি, ‘এপথ পেরোবার নয়’।
তুই আমাকে টেনে তুলিস
আমায় দিস দিক-নির্দেশনা
তুই ক্লান্ত হোস
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকিস
ভয়ার্ত হোস
দ্বিধা আর দ্বন্দের মাজে দোদুল্যমান থাকিস
তারপর আবার উঠে দাড়াস
আমি অবাক চোঁখে চেয়ে দেখি
অনুভব করার চেষ্টা করি তোর প্রাণশক্তিকে
ব্যার্থ হই
তোকে কেবলই হিংসে করে যাই
টুকরো টুকরো ঘাত-প্রতিঘাত তোর সামনে এসে দাড়ায়
তুই একটা একটা করে সয়ে নিস সবগুলোকে
কখনও বিচলিত হোস
কখনও কষ্ট পাস
কখনও বা দু’হাতে শূণ্যে ছুড়ে ফেলতে চাস
যতটা কষ্ট আছে তোর মাঝে
যতটা আছে তোর চলার পথে
তারপর ডুকরে কেঁদে উঠিস
আমি ভাবি, তুই পরাজিত হয়েছিস
আমার ঠোটের কোণায় জমে ওঠে এক ক্রুর হাসি
ভাবি তোকে আমি পরাজিত করেছি
বুঝতে পারিনা কোন সমরে-
তবু প্রাণহীন অট্টহাসিতে ফেটে পড়ি
তারপর দেখি তুই উঠে দাড়াচ্ছিস
আমার ইচ্ছে সত্যি হয় না।
ধ্বংসস্তুপ ভেদ করে তুই আবার উঠে দাড়াস
আমি অবাক বিষ্ময়ে চেয়ে থাকি
আর তোকে হিংসে করে যাই
দুঃখগুলো একটা একটা করে তোর সামনে এসে দাড়ায়
তুই বুক পেতে দিস
তুই চিৎকার করে কাঁদিস
একটা একটা করে কষ্ট তোকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে
নিঃশেষিত করেছে তোর হৃদয়কে
তারপর একসময় নিজেই নিভে গেছে।
তুই এগিয়ে গেছিস পরেরটার জন্যে-
আর আমি?
একটা একটা করে তাদের জমিয়ে রেখেছি
কাউকে বুঝতে দিইনি আমার কষ্ট
সবাইকে দেখাতে চেয়েছি আমার শ্রেষ্ঠত্ব
ছোট ছোট স্ফুলিঙ্গগুলোকে জমিয়ে করেছি দাবানল
আজ তা যেন আমার অস্তিত্বকেই ধ্বংস করতে উদ্যত
এক পথহারা পথিকের মত আমি আশ্রয় খুঁজে ফিরছি
তোর হৃদয়ের বিশালত্বের মাঝে
কোন এককোণে এক ছোট্ট কুটির গড়ে তুলেছি
তুই হয়ত জানতেও পারিস নি
তোর নিষ্পাপ হৃদয়ের মাঝে
কতটা নীচ সত্ত্বা আত্মগোপন করে আছে
প্রতিদানে তোকে শুধু হিংসেই করে গেছি
যেটুকু হীনমন্যতা আমি ধারণ করেছিলাম
তোকে আঘাত করে আমি তা লুকোতে চেয়েছিলাম
তোকে ছলনার মাঝে বিভ্রান্ত দেখে
অট্টহাসিতে লুটিয়ে পড়েছি
তোকে ভেবেছি দুর্বল; হীন
ভেবেছি এবার তুই আমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবি
মেনে নিবি আমার শ্রেষ্ঠত্ব
এক উন্মত্ত হৃদয়কে নিয়ে আমি ছিলাম উদভ্রান্ত
তোর অতি-সাধারণ দেহের মাঝের অসাধারণ সত্ত্বাকে
আমি মেনে নিতে পারিনি।
আমি তোর সরলতাকে ভেবেছিলাম অহংবোধ
আমি তোর বিশ্বাসপ্রবনতাকে ভেবেছিলাম তোর দুর্বলতা
অথচ সে ছিল তোর মহত্ব
আনন্দ-কষ্ট-উচ্ছাস-ভালবাসা-সরলতা
আর একটুখানি সমবেদনা;
সত্যিকারের মানুষ কি এর থেকে বেশি কিছু?
স্রষ্টার কাছে যতটা আবেগ আর অনুভূতি ছিল
তার সবটুকু মিশিয়ে দিলেন তোর প্রতিটি রক্ত-কণিকায়
আমি এই নীচ আমাকে তোর মাঝে মিশিয়ে দিয়েছি
এটুকু পঙ্কিলতা কি ধারণ করতে পারবি না?
তোকে যে আমি বড্ড হিংসে করি।
যে স্নেহের মাঝে আমি খুঁজে পাই হীন কুটিলতা-
তুই তাকে দিয়েছিস পরম ভালবাসা।
যে আবেগকে আমি মনে করেছি দুর্বলতা-
তুই তাকে দিয়েই আমাকে জয় করেছিস।
আমি নরকাগ্নীর কীট!
তোর শ্রেষ্ঠত্ব কিকরে সহ্য করব?
তাই তোকে হিংসের থেকে বেশী কিছু দিতে পারিনি।
আমার ক্লেদান্ত মনের ওপর,
রাজকীয় আবরণে- শেষ্ঠত্ব পেতে চেয়েছিলাম
তার মাঝে তুই আবির্ভূত হলি স্বমহিমায়।
আমি তোর বশ্যতা স্বীকার করে নিলাম।
তুই হয়ত জানতেও পারিস নি-
এ হীণ হৃদয় তোর মাঝে মুক্তির শেষ পরশ খুঁজে পেয়েছে।
এই কুটিল হৃদয়টাকে কি মনের কোণায়
একটুখানি যায়গা দিতে পারিস না?
আমি যে বড্ড অসহায়!
আমার প্রতিটি অবলম্বন আমার সাথে কৃতঘ্নতা করেছে
আমি যে তার থেকে বেশি কিছুই পারিনা।
আমায় দুরে ঠেলে দিস না।
এই উদভ্রান্ত অস্তিত্ব আজ তোকে আকড়ে ধরে বাঁচতে চায়।
একটু আশ্রয় কি দিতে পারিস না আমায়?
তোকে যে আমার বড্ড হিংসে হয়!
Comments
Post a Comment