৯৯৯

সূর্যটা তখন তোড়জোড় শুরু করেছে ঘুমোবার।
খানিকটা অলস ব্যাস্ততার।
তখন আমিও সময়হীন।
আজ তার সাথে প্রথম দেখা করার দিন।

সে আসবে বলে,
আজ সারাদিন ছুইনি কোন নিকোটিন;
আমাতের রাখব না কোন বিষাক্ততা। আজ তারে দেখার দিন।
লিখিনি কোন কবিতা অনুভূতির নিঃশেষে।
এতটা পথ হেঁটে এসে,
সবটুকু উষ্ণতা জমিয়ে রেখেছি, তার ঠোঁট দু'টো ছোব বলে;
রবির লালের আচলে।


সে আসে।
লাল অর্কের ক্লান্তির নিঃশ্বাসে।
এক বোধহীন উষ্ণতা; যত রূপকথা আর বিষাক্ততার
বোধহীন বিস্ময়ে_
ধীরে; মন্থর লয়ে।

সে প্রজ্জ্বলিত হুতাশন; আমি খাণ্ডবদাহন
মাঝে কেউ নেই শুধু মলয় আর তপন।
আমি বিপন্ন বিমুগ্ধ!
আমি পাপের সাগরে স্নান করে হই শুদ্ধ।
আমার 'সে' এসেছে আজ।
তার পরনে বিবস্ত্র লাজ।
সে নিজে পুড়ে পুড়ে জ্বালায় আমাকে; পোড়ে তার লাল সাজ।
সে যেন বোধহীন ধোয়াশা।
ধোয়াশা তার যাওয়া তার আসা।
আমি বিবস্ত্র প্রিয়ায় বিপন্ন, বিমুগ্ধ, বিস্মিত, বোধহীন
আজ মোর প্রিয়ার আসার দিন।

Comments

Popular posts from this blog

নিকষ

বাংলা কবিতায় ছন্দ ; কিছু প্রাথমিক আলোচনা

স্বাতন্ত্রিক