মহনীয় কাব্য
আমি উপযুক্ত কোন শব্দ খুঁজে পাইনি
যা আমার অনুভূতিকে ভাষায় রূপ দিতে পারে
যা সাযুজ্য রাখতে পারে যুদ্ধের তীব্র প্রলয়ের সাথে
তেমন ছন্দ আমি খুঁজে পাইনি
হঠাৎ, অগ্নুৎপাতের মত শুরু হওয়া যুদ্ধ নিয়ে
আমি কি করে লিখব?
আমি কিভাবে অনুধাবন করতে সমর্থ হব
দুইশ বছরের সুপ্ত আগ্নেয়গিরি
মাত্র দুই যুগে এমন প্রলয়ের ধ্বনি উচ্চারণ করবে!
আমি আমার চেয়েও মহনীয় ছন্দ খুঁজে পেয়েছি
অকুতভয় বীরদের রাইফেলের প্রতিটি ঝংকারে
আমার কবিতার চেয়েও সার্থক কবিতা
প্রতিটি বিজয়ের ইতিহাস, প্রতিটি বীরত্বগাথা
আমার এ কবিতা তার কাছে ম্রিয়মান হয়ে পড়ে
প্রতিটি মুক্তিসেনার সেই অভিন্ন লক্ষ্যের ভিন্ন প্রেক্ষাপটগুলো
আমি শব্দের শৃঙ্খলে তাকে কি করে বাধব?
আমার কাব্যিক অনুভূতিগুলো আজ
রণক্ষেত্রের হিংস্রতার মাঝে পাওয়া স্বপ্নের কাছে নতশীর
এ কবিতার চেয়েও শ্রেষ্ঠ অলঙ্কার যেন
প্রতিটি শৃগালের দেহ থেকে বয়ে চলা রক্তস্রোত
যা কালিমামুক্ত করে আমার পূণ্যভূমিকে।
অজস্র সৈনিকের তীব্র জয়োল্লাসের মাঝে পাওয়া বেদনা
আমি আমার একটি পঙ্কতিতেও শোভিত করতে পারিনি
আমি কখনই বুঝতে পারিনি
কিভাবে প্রতিটি বুলেটের সাথে নিঃসৃত হওয়া আর্তনাদ
শত্রুবক্ষে গিয়ে আঘাত করে
যোধনের প্রতিটি অধ্যায়ের পেছনে লুকিয়ে কত কান্না
কত সৈনিকের স্বাধীনতাকে নিয়ে নির্ঘুম স্বপ্ন
তা শব্দের বন্ধনে কি করে শৃঙ্খলিত হয়!
আমার অনুভূতিতে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ কবিতা
প্রতিটি মুক্তি সেনার চোঁখের পাতায় অবাস্তব স্বপ্ন
স্বপ্নের স্বাধীনতাকে পাবার জন্য
কৃষানের হাতে গর্জে ওঠা নিষ্ঠুর রাইফেলের গর্জন
একটি পতাকাকে ঘিরে বিজয়ের প্রলয়োল্লাস
আমি তাকে কাব্যরূপ দিতে অক্ষম।
Comments
Post a Comment