বিক্ষোভ

কয়েকটি মুহূর্ত;
তারপর দিন, তারপর সপ্তাহ-মাস-বছর
ক্ষোভগুলো ধীরে ধীরে জমে উঠতে থাকে।
বিন্দু বিন্দু জলকণার মত
ক্রমাগত হয়ে ওঠে এক জলধি
তার উন্মাতাল স্রোতের বিক্ষোভ
সহসা আছড়ে পড়ে
রাজপথের প্রতিটি উত্তপ্ত পিচে
লাল সমুদ্রজলে আচ্ছাদিত হয়
গোটা শোষক-যন্ত্র।
স্লোগান আর স্লোগানে উন্মাতাল!
কখনও স্রোতের প্রবাহ
বিধ্বংসীর মত এগিয়ে চলে।
কখনও বা বাধ।
কখনও পথ আগলে দাড়ায়
পিশাচের দল।



একটি, দু’টি, তিনটি, চারটি... দশটি
জলকণার লাশ ঝরে
তাকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে
সাগরের রুদ্র জলোচ্ছ্বাস।
সেই সাথে চলে
দেব-দেবীদের নোংরা কাদা ছোড়াছুড়ি।
প্রতিটি মহাসাগর,
জলকণার পরিচয়ে দেয় নিজের নামে।


স্রোতের তাণ্ডবলীলা_
তার মাঝ দিয়ে এগিয়ে যায়।
তরঙ্গ-বিক্ষুব্ধ জ্যান্থাসের ঢেউ
আছড়ে পড়ে অলিম্পাসের চূড়ায়
জিউসের সিংহাসন কেঁপে ওঠে_
প্রলয়ের উচ্ছ্বাসে।


‘উন্মীলিত জলরাশি’
পসিডনের অবাধ্য হয়ে;
আছড়ে ফেলে জিউসকে!
নতুন করে তারা স্বর্গকে সাজায়।


এরপর!
আসে নতুন কোন জোঁক!
কয়েকটি মুহূর্ত;
তারপর দিন, তারপর সপ্তাহ-মাস-বছর
ক্ষোভগুলো ধীরে ধীরে জমে উঠতে থাকে।

Comments

Popular posts from this blog

নিকষ

বাংলা কবিতায় ছন্দ ; কিছু প্রাথমিক আলোচনা

স্বাতন্ত্রিক