চন্দ্রস্নাতা

তুমি কখনও চন্দ্রস্নাতা পদ্মাকে দেখেছ?
আমি দেখেছি।
তার রূপের বর্ণনা দেব?

তুমি রম্ভার নাম শুনেছ?
তার নগ্নদেহের নৃত্য কুশলতায়,
সহস্র বছর ধরে ধ্যানরত মুনি কামাবেশে সিক্ত হয়।
অমরত্বের বর হেলায় তুচ্ছ করে,
তুচ্ছাতিতুচ্ছ নারীদেহের সম্ভোগে লিপ্ত হয়।
তার চেয়ে কামাতপ্ত সে সে চন্দ্রস্নাতার রূপ।

তুমি গাঁজার শলার ধোঁয়াশা মোহাবিষ্টতাকে জান?
তা তোমার স্নায়ুকে ধোঁয়াশাচ্ছন্ন করে
তোমার চেতনাকে মোহাবিষ্ট করবে।
তুমি অনুভব করবে,
অভিকর্ষকে ছিন্ন করে পৃথিবীর ঘূর্ণন।
অর্ফিয়াসের বাঁশির থেকেও মোহময় সুর।
পৃথিবীর সব জরাকে ত্যাগ করে চেতনার অট্টহাস্য।
তার চেয়েও করুণ সে মোহময়ী চন্দ্রস্নাতা।

তের পেগ ভদকার মাদকতা লীন হয়ে যায়,
তার কাছে।
তার প্রতি এক ক্ষণকাল দৃষ্টি ফেলে
আমি জলের প্রেমে মোহিত হয়েছি।
সে স্নিগ্ধ আলোয় ঘোলা জল
মস্তিষ্ককে আচ্ছন্ন করে রাখা মাদকার চেয়ে
বিভিষিকাময়।

তুমি নবমীর চাঁদে স্নানরতা পদ্মাকে দেখেছ?
আমি বলছি। শোন।
কাল গোখরো তার সূচালো দু'দাতে
যতটুকু বিষ ধারণ করে;
তার চেয়েও বিষময় এক পশলা আলো।
পূর্ণিমার নাগিনীর নূপুরের নিক্কন হার মেনে যায়
সে জলের কলতানের কাছে।

আমি কামাবিষ্ট হয়ে মোহাবিষ্ট মাতাল হই,
তার কুমারিত্বের কাছে।
চন্দ্রালোকে তার স্নানরতা নগ্ন বক্ষ আমি দেখেছি।

তুমি কখনও চন্দ্রস্নাতা পদ্মাকে দেখেছ?
আমি দেখেছি।
দেখ।




Comments

Popular posts from this blog

নিকষ

বাংলা কবিতায় ছন্দ ; কিছু প্রাথমিক আলোচনা

স্বাতন্ত্রিক