শব্দ বিভীষিকা! #১ #২ #৩ #৪

#১

এখন আদৌ কিছু করছি কিনা
তাও জানিনা।
শুধু কিছু হলুদ আলো।
ঈশ্বরের নৈঃশব্দ।
আর কয়েক ফোঁটা তরল আলো।
কিছু গোঙানি ... অস্পষ্ট।
হঠাৎ কিছু শব্দ।
প্রচণ্ড।
বিভীষিকাভরা।
ওরা নাকি কবিতা।
তাই? এত তীব্র ওরা!
যার তীব্রতায় ঈশ্বরের সকাশে
তার অজ্ঞাতে ... আমি মরে গেছি।

#২

যেদিন আমি মারা গিয়েছিলাম,
আকাশে কয়েক ফোঁটা আলো ছিল।
আর পৃথিবী ছিল আঁধার।
আমি আঁধারে স্নাত হয়েছিলাম।
ছিল হলুদাভ সোডিয়াম আলো।
নৈঃশব্দের তীর ঘেঁষে _
গোঙানি দিয়েছিল কিছু কুকুর।
সেদিন ঈশ্বর নেমে এসেছিলেন।

সেদিন পৃথিবীতে উদ্ভট কিছু শব্দ
উচ্চারিত হয়েছিল। যাকে বলে কবিতা।

আমি প্রথমবার সম্মোহিত হয়েছিলাম। যেদিন _
আমি মৃত্যুর দরজা ছুঁয়েছিলাম।

#৩

মুছে গেছে সব শব্দের ছবি।
মরে গেছে কবি।

#৪

আর ঈশ্বর দাস হয়ে গেছে।
যে অনুভূতিরা একদিন ভীত সতন্ত্র হয়ে,
প্রভুর চরণে গড়াগড়ি যেত;
সেই তারা আজ সুতীক্ষ্ণ সব গর্জন করে।
ঈশ্বর আজ অসহায় হয়ে আত্মগোপন করে থাকে শুধু।
অনুভূতি তাকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত করে।
মৃত ঈশ্বর মরে পড়ে থাকে। পড়ে মরে থাকে।

Comments

Popular posts from this blog

নিকষ

বাংলা কবিতায় ছন্দ ; কিছু প্রাথমিক আলোচনা

স্বাতন্ত্রিক