যেদিন
যেদিন আমি
প্রথমবার ঘাসের ওপর দিয়ে লাল
সূর্য উঠতে দেখেছিলাম,
যেদিন
প্রথমবার কৃষ্ণ থেকে একটু
একটু করে অনেকটা আলো ছড়িয়ে,
আকাশের
পূর্ব প্রান্তরে অদ্ভুত কোমল
বিভীষিকাময় রক্তপাত হয়েছিল,
আমি একটা
অসম্ভব কাজ করে ফেলেছিলাম।
আমি ভালবেসেছিলাম।
যেদিন আমি
প্রথম প্রবল প্রত্যুষে বাতাসে
ভেসে চলা কুয়াশা দেখেছিলাম,
যেদিন কোন
এক হিম সন্ধ্যায় পাতাকুড়ানির
দলের সাথে মিশে গিয়ে,
শুকনো
পাতার উষ্ণতায় ধোঁয়াশা আলোয়
কুয়াশার্ত সকাল দেখেছিলাম,
সেদিন আমি
এক অদ্ভুত কাজ করে ফেলেছিলাম।
আমি ভালবেসেছিলাম।
যেদিন আমি
প্রথম কোমল ঘাসের ওপর টলমলে
শিশিরকণা দেখেছিলাম,
যেদিন
অনুদিত কিংবা মেঘে মেঘে লুকিয়ে
থাকা সূর্য্যিদেবের আলোয়,
এক ফোঁটা
নিরুত্তাপ শিশিরের মাঝে
মহামূল্যবান মুক্তোর খোঁজ
পেয়েছিলাম,
সেদিন আমি
এক ইতিহাস স্থাপন করেছিলাম।
আমি ভালবেসেছিলাম।
যেদিন
শুকনো নদীর তীরে হাঁটতে হাঁটতে
ক্রমক্ষীয়মান সূর্য দেখেছিলাম,
যেদিন নদী
তীরের ঘাসের শিশির বাতাসের
কুয়াশা মিলিয়ে গিয়েছিল,
মৃদু বাতাসে
ভেসে আর পশ্চিম তীরে সূর্য
গলে গিয়ে নদীতে ভেসে আসছিল,
সেদিন আমি
এক বিস্ময়ভরা কাজ করেছিলাম।
আমি ভালবেসেছিলাম।
যেদিন আমি
সব সুন্দর, সবটুকু
সৌন্দর্য গাড় অন্ধকারে ডুবতে
দেখেছিলাম,
যেদিন
পৃথিবীর সবটুকু ভাল মিলিয়ে
গিয়ে আকাশে কলঙ্কিত চাঁদ আর
আকাশে তার
সাগরেদরা জ্বলছিল। যেদিন
চাঁদ এসে আমার পাশে বসেছিল,
সেদিন আমি
এক অতিস্বাভাবিক কাজ করেছিলাম।
আমি ভালবেসেছিলাম।
Comments
Post a Comment