শ্রাবণের অবিশ্বাস
হ্যাঁ
বলেছিলাম,
একদিন
হব তোমার আকাশ।
এবং
তোমার দুই হাত শক্ত করে ধরে
আর তোমার প্রশ্বাস
হ্যাঁ
বলেছিলাম,
ছাড়ব
না এই হাত কোনদিন – দিয়েছি
আশ্বাস।
কাউকে
দিই নি আমি কখনও এক ফোঁটা কথা।
তুমিই
প্রথম... এবং
এটাও আমি জানতাম,
তুমিই
শেষের কোন নীরবতা;
দুঃসাহস
আমি দেখিয়েছিলাম,
যাকে
কথা দিয়ে রাখার উচ্ছ্বাস।
বিশ্বাস
করিনি কভু নিজেকেই।
এ
মহাবিশ্বের নৈশব্দের ছোঁয়া
সব কোলাহলে সুদূর থেকেই,
যত
কথকতা লেখা-আঁকা
থাকে,
সেসবের
মাঝে আমার সুতীব্র ঘৃণা-অবিশ্বাস
ছিল নিজেকেই।
নিজেকেই
আমি কভু-কোনদিন,
করিনি
বিশ্বাস।
হ্যাঁ
করেছিলাম,
নিজেকে
বিশ্বাস স্রেফ একবার,
“ভালবাসি”
তুমি বলেছিলে সেই দিন যতবার।
হ্যাঁ
করেছিলাম সুতীব্র বিশ্বাস,
চিরদিন
এই শব্দটা শুনতে
আমিই
করতে পারি সবকিছু -
মেনে
নিয়েছি নিজের অজান্তে।
তীব্র
ভীতু আমি মুহূর্তেই তীব্র
দুঃসাহসী হয়ে ছিলাম তখন।
“ভালবাসি”
তুমি বলেছ যখন।
তীব্র
দুঃসাহসে তখন আমার সুখের আবাস।
হ্যাঁ
বলেছিলাম,
তোমাকে
প্রতিটি মুহূর্তে জড়াবে মেঘ
ছোঁয়া জলে,
জলকণা
হয়ে জমা হব আমি,
তোমার
চোখের পাপড়ির দলে,
তখন
আমার হবে বসবাস।
অতঃপর
আমি আকাশ হয়েছি।
তোমায়
ঢাকতে গিয়ে আমি নিজে প্রবল
শ্রাবণ মেঘে ঢেকে গেছি ।
তোমায়
সুনীল রৌদ্রজ্জ্বল দিন দেব
– এ কথাও হ্যাঁ বলেছিলাম।
এবং
তোমায় যন্ত্রণা দিলাম।
তীব্র
দুঃসাহসে আমি মুছে গেছি।
আমি
যন্ত্রণার শ্রাবণ হয়েছি।
তোমায়
শ্রাবণে ভেজাতে না পেরে,
অতঃপর
জল আর যন্ত্রণার মেঘ ঝরিয়েছি
চোখের ওপরে।
তোমাতে
সূচের মতন বিঁধেছে সকল যন্ত্রণা,
যন্ত্রণার
শ্বাস।
আমি
মেঘ হয়ে চিৎকার করেছি। তোমায়
জড়াতে গেছি আলিঙ্গনে।
এবং
যন্ত্রণা,
তোমায়
আরও আবৃত করেছে। তুমি মুছে
গেছ জলের দহনে।
সকল
বিশ্বাস ভেঙ্গে গেছে আজ।
তোমার
পরনে যন্ত্রণার সাজ।
আরও
প্রগাড় নিজের সত্ত্বার প্রতি
অবিশ্বাস।
হ্যাঁ
চেয়েছিলাম,
হব
জলকণা। মেঘ হতে আসা শ্রাবণ
ততটা
যত
নিয়ে হয় তোমার চোখের কোণে এক
ফোঁটা।
আর
দিন শেষে ঝরিয়েছি জল।
শ্রাবণ
অতল।
ছাই
করে দিয়ে উড়িয়েছি সুখ;
আর
ধুয়ে গেছে সকল বিশ্বাস।
Comments
Post a Comment