আমি কবি হতে চেয়েছিলাম।
আমি কবি হতে চেয়েছিলাম।
তোমার প্রতি আমার প্রতিটি অনুভূতিকে,
আমি একটির পর একটি; ক্রমাগত।
চরণের প্রতিটি শব্দের প্রতিটি অক্ষরের...
আমি তার গহিন-তম গহ্বরে লুকোতে চেয়েছিলাম,
আমার নিযুত অনুভূতিকে।
পারিনি।
তা হবারই ছিল।
অনুভূতির শৃঙ্খলিত বহিঃপ্রকাশই তো কবিতা।
আমি আমার অনুভূতিকে কি করে শৃঙ্খলিত করব?
আমি চিত্রকর হতে চেয়েছিলাম।
আমি তোমার প্রতিটি অভিব্যক্তিকে,
নিকষ নিপুণতায় ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলাম।
একটির পর একটির পর একটি তুলির আঁচড়;
আমি বিবর্ণ তুষার-শুভ্র কাগজটাকে,
ভরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম রামধনুর বর্ণচ্ছটায়।
পারিনি।
আমি তোমার নিমীলিত অক্ষিপুঞ্জকে
অনিমেষ করে তুলতে পারিনি।; আমি চাইনি।
আমি তোমায় মুহূর্তের এক বীক্ষণে আবদ্ধ করতে পারিনি।
আমি ভাস্কর হতে চেয়েছিলাম।
ভেবেছিলাম, আমি তোমায় করে তুলব
‘পিয়েটা’র চেয়েও মহনীয় কিছু।
কল্পলোকের গোপন কোন এক অপ্সরা কিংবা
অলিম্পাস হতে স্বয়ং আফ্রোদিতি পরাজয় স্বীকার করবে।
নিথর নিস্তব্ধ পাথরের মাঝে আমি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করব।
পারিনি।
আমি তোমার হৃৎস্পন্দনকে বন্ধ করে দিতে পারিনি।
আমি চাইনি প্রাণময় প্রস্তরের মাঝে ফুটে ওঠো নির্জীব তুমি।
তোমার উচ্ছলতাই যে তুমি।
আমি সম্রাট হতে চেয়েছিলাম।
আমি গড়তে চেয়েছিলাম নতুন এক তাজমহল।
যার দ্যুতির প্রচণ্ডতায় পরাজয় স্বীকার করবে স্বয়ং আগ্রা।
আমি চেয়েছিলাম তোমায় চিরস্মরণীয় করে রাখতে।
পারিনি।
আমি চাইনি সবাই তোমায় ভুলে।
মত্ত হয়ে থাক এক মার্বেল পাথরের খেলাঘর নিয়ে।
তোমাকেই আমি মহনীয় করে রাখতে চেয়েছিলাম।
আমি প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম।
আমি চেয়েছি স্বর্গ হতে বয়ে আনা
এক গুচ্ছ রক্তগোলাপের মত কিংবা
এক পশলা শরতের হালকা বৃষ্টির মত কিংবা
পৌষের প্রথম সকালের কুয়াশার মত কিংবা
কোকিলের গানের মত কিংবা
বসন্তের এক পরশ শীতল হাওয়ার প্রশান্তির মত
একগুচ্ছ ভালবাসা তোমায় উপহার দিতে।
কি ভাবছ? পারিনি?
না। দেবলোকের শ্রেষ্ঠ ঐশ্বর্যটুকুই আমি তোমায় দিয়েছি।
তোমার প্রতি আমার প্রতিটি অনুভূতিকে,
আমি একটির পর একটি; ক্রমাগত।
চরণের প্রতিটি শব্দের প্রতিটি অক্ষরের...
আমি তার গহিন-তম গহ্বরে লুকোতে চেয়েছিলাম,
আমার নিযুত অনুভূতিকে।
পারিনি।
তা হবারই ছিল।
অনুভূতির শৃঙ্খলিত বহিঃপ্রকাশই তো কবিতা।
আমি আমার অনুভূতিকে কি করে শৃঙ্খলিত করব?
আমি চিত্রকর হতে চেয়েছিলাম।
আমি তোমার প্রতিটি অভিব্যক্তিকে,
নিকষ নিপুণতায় ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলাম।
একটির পর একটির পর একটি তুলির আঁচড়;
আমি বিবর্ণ তুষার-শুভ্র কাগজটাকে,
ভরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম রামধনুর বর্ণচ্ছটায়।
পারিনি।
আমি তোমার নিমীলিত অক্ষিপুঞ্জকে
অনিমেষ করে তুলতে পারিনি।; আমি চাইনি।
আমি তোমায় মুহূর্তের এক বীক্ষণে আবদ্ধ করতে পারিনি।
আমি ভাস্কর হতে চেয়েছিলাম।
ভেবেছিলাম, আমি তোমায় করে তুলব
‘পিয়েটা’র চেয়েও মহনীয় কিছু।
কল্পলোকের গোপন কোন এক অপ্সরা কিংবা
অলিম্পাস হতে স্বয়ং আফ্রোদিতি পরাজয় স্বীকার করবে।
নিথর নিস্তব্ধ পাথরের মাঝে আমি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করব।
পারিনি।
আমি তোমার হৃৎস্পন্দনকে বন্ধ করে দিতে পারিনি।
আমি চাইনি প্রাণময় প্রস্তরের মাঝে ফুটে ওঠো নির্জীব তুমি।
তোমার উচ্ছলতাই যে তুমি।
আমি সম্রাট হতে চেয়েছিলাম।
আমি গড়তে চেয়েছিলাম নতুন এক তাজমহল।
যার দ্যুতির প্রচণ্ডতায় পরাজয় স্বীকার করবে স্বয়ং আগ্রা।
আমি চেয়েছিলাম তোমায় চিরস্মরণীয় করে রাখতে।
পারিনি।
আমি চাইনি সবাই তোমায় ভুলে।
মত্ত হয়ে থাক এক মার্বেল পাথরের খেলাঘর নিয়ে।
তোমাকেই আমি মহনীয় করে রাখতে চেয়েছিলাম।
আমি প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম।
আমি চেয়েছি স্বর্গ হতে বয়ে আনা
এক গুচ্ছ রক্তগোলাপের মত কিংবা
এক পশলা শরতের হালকা বৃষ্টির মত কিংবা
পৌষের প্রথম সকালের কুয়াশার মত কিংবা
কোকিলের গানের মত কিংবা
বসন্তের এক পরশ শীতল হাওয়ার প্রশান্তির মত
একগুচ্ছ ভালবাসা তোমায় উপহার দিতে।
কি ভাবছ? পারিনি?
না। দেবলোকের শ্রেষ্ঠ ঐশ্বর্যটুকুই আমি তোমায় দিয়েছি।
Comments
Post a Comment