যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে বিদ্রোহী জনতার তীব্র গর্জন
এক টুকরো অধিকার পাবার আশায়
অস্ত্রের সামনে নিজের বুক পেতে দেবার দুঃসাহস
সূর্যসম তেজী এক ঝাঁঝাল স্লোগান
আমি সেই দুঃসাহসকে নিয়ে স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে সৈনিকের বুটের তীব্র শঙ্কা
সেই হায়েনা তাকে লুকিয়ে রাখতে প্রতি মুহূর্তে ভয় সৃষ্টি করে
নিজের মৃত আত্মাকে লুকোতে
সে সৃষ্টি করে সহস্র মৃতদেহ
নিজের পলায়নপর পা’দুটোকে থামায় অন্যের রুদ্ধশ্বাস আতঙ্ক দেখে
নিজের অজ্ঞাতসারে সে আত্মহননের পথে এগিয়ে যায়
আমি সেই জিঘাংসাকে নিয়ে স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে রাইফেলের শীর্ষে বাধা একপ্রস্থ সবুজাভ লাল
শোণিত-সাগরে ডুবে থাকার পরেও
তার মাঝ থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসে এক মহনীয় স্নিগ্ধতা
একজোড়া নির্ঘুম সাদাকালো চোখে রঙ্গিন স্বপ্ন
আমি সেই স্বপ্নময় স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে এক বুকফাটা আর্তনাদ
এক দুঃখিনী মায়ের সাদা শাড়িতে লেগে থাকা রক্তিম ছোপ
তবু, চোখের অশ্রু মুছে ফেলে
তার এক অনন্য বিজয়ের প্রত্যাশা
সেই বিজয়ের তেপান্তরের ছুটে চলা এক তুলতুলে খুকি
আমি সেই তেপান্তরের মাঝে স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে এক দুরন্ত কিশোর
যে হাতের ঘুড়ি-নাটাই ফেলে ধরেছিল মর্টারের গোলা
আজ তার হাতের সেই নিরীহ গুলতি
অবিরাম ঝাঁঝরা করে চলে হায়েনার বুক
আমি সেই দুরন্ত অবোধকে নিয়ে স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে এক কৃতঘ্ন জানোয়ারের ক্রুর হাসি
ক্ষুধার্ত নেকড়ের দলে ভেড়া একদল শৃগালকে
মাতৃভূমির প্রতিটি বন্ধনকে যারা ছিন্ন করেছে
মায়ের প্রতিটি আদর আর ভালবাসার প্রতিদান যারা দিয়েছে
এক দলা জমাট বাধা রক্ত দিয়ে
যারা এই মায়ের প্রতিটি বালুকণার সাথে কৃতঘ্নতা করেছে
আমি তাদের আস্তা-কুড়ে ফেলে স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শাণিত তারুণ্য
হাতের কলমের নিবে প্রবাহিত হওয়া রক্তের ধারায়
সমস্ত আবেগকে ভাসিয়ে দিয়ে যে হাতে তুলে নিয়েছে স্টেনগান
যার প্রতিটি বুলেটে মিশে থাকে মায়ের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা
যার প্রতিটি বুলেটে মিশে থাকে তীব্র ক্রোধ আর যন্ত্রণা
আমি সেই তারুণ্য ভরা স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে এক হতভাগ্য মুক্তি-সৈনিককে
বুনো কুকুরের সুতীব্র আঘাতে প্রতি-নিয়ত জর্জরিত হয়েও
যার মাঝে কোন অনুশোচনা থাকে না
দেশের প্রতি কৃতঘ্নতার বদলে যন্ত্রণা ভরা মৃত্যুই যার পছন্দ
আমি সেই দৃঢ়চেতা স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে এক বিস্মৃত বীরাঙ্গনার কথা
নিজের প্রতিটি অঙ্গে কালিমা ধারণ করেও
যে অপেক্ষা করে এক পবিত্র বিজয়ের
হায়েনার কালিমালিপ্ত স্পর্শের বদলে যে মৃত্যুকে বেছে নেয়
আর যে তীব্র যন্ত্রণার মাঝে অপেক্ষা করে বিজয়ের
আমি সেই পবিত্রতাকে ধারণ করে স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে আমার মাতৃভূমির প্রতিটি বীরত্ব-গাথা
প্রতিটি পরাজয়ের মাঝে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত বিপ্লব
যা আমাকে বারবার দিয়েছে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়
যারা পরাজিত হতে জানে, কিন্তু হারতে জানে না
আমি সেই বিপ্লবী চেতনা নিয়ে স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে আমার ষোল কোটি হৃদয়কে
যাদের নিয়ে আমি স্বাধীনতাকে অনুভব করি
যাদের মাঝে আমি খুঁজে পাই নব-বিজয়ের উন্মাদনা
যাদের মাঝে আমি খুঁজে পাই আমার প্রাণের স্বাধীনতা
আমি সেই বিজয়-মাখা স্বাধীনতা চাই
আমার মনে পড়ে বিদ্রোহী জনতার তীব্র গর্জন
এক টুকরো অধিকার পাবার আশায়
অস্ত্রের সামনে নিজের বুক পেতে দেবার দুঃসাহস
সূর্যসম তেজী এক ঝাঁঝাল স্লোগান
আমি সেই দুঃসাহসকে নিয়ে স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে সৈনিকের বুটের তীব্র শঙ্কা
সেই হায়েনা তাকে লুকিয়ে রাখতে প্রতি মুহূর্তে ভয় সৃষ্টি করে
নিজের মৃত আত্মাকে লুকোতে
সে সৃষ্টি করে সহস্র মৃতদেহ
নিজের পলায়নপর পা’দুটোকে থামায় অন্যের রুদ্ধশ্বাস আতঙ্ক দেখে
নিজের অজ্ঞাতসারে সে আত্মহননের পথে এগিয়ে যায়
আমি সেই জিঘাংসাকে নিয়ে স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে রাইফেলের শীর্ষে বাধা একপ্রস্থ সবুজাভ লাল
শোণিত-সাগরে ডুবে থাকার পরেও
তার মাঝ থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসে এক মহনীয় স্নিগ্ধতা
একজোড়া নির্ঘুম সাদাকালো চোখে রঙ্গিন স্বপ্ন
আমি সেই স্বপ্নময় স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে এক বুকফাটা আর্তনাদ
এক দুঃখিনী মায়ের সাদা শাড়িতে লেগে থাকা রক্তিম ছোপ
তবু, চোখের অশ্রু মুছে ফেলে
তার এক অনন্য বিজয়ের প্রত্যাশা
সেই বিজয়ের তেপান্তরের ছুটে চলা এক তুলতুলে খুকি
আমি সেই তেপান্তরের মাঝে স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে এক দুরন্ত কিশোর
যে হাতের ঘুড়ি-নাটাই ফেলে ধরেছিল মর্টারের গোলা
আজ তার হাতের সেই নিরীহ গুলতি
অবিরাম ঝাঁঝরা করে চলে হায়েনার বুক
আমি সেই দুরন্ত অবোধকে নিয়ে স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে এক কৃতঘ্ন জানোয়ারের ক্রুর হাসি
ক্ষুধার্ত নেকড়ের দলে ভেড়া একদল শৃগালকে
মাতৃভূমির প্রতিটি বন্ধনকে যারা ছিন্ন করেছে
মায়ের প্রতিটি আদর আর ভালবাসার প্রতিদান যারা দিয়েছে
এক দলা জমাট বাধা রক্ত দিয়ে
যারা এই মায়ের প্রতিটি বালুকণার সাথে কৃতঘ্নতা করেছে
আমি তাদের আস্তা-কুড়ে ফেলে স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শাণিত তারুণ্য
হাতের কলমের নিবে প্রবাহিত হওয়া রক্তের ধারায়
সমস্ত আবেগকে ভাসিয়ে দিয়ে যে হাতে তুলে নিয়েছে স্টেনগান
যার প্রতিটি বুলেটে মিশে থাকে মায়ের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা
যার প্রতিটি বুলেটে মিশে থাকে তীব্র ক্রোধ আর যন্ত্রণা
আমি সেই তারুণ্য ভরা স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে এক হতভাগ্য মুক্তি-সৈনিককে
বুনো কুকুরের সুতীব্র আঘাতে প্রতি-নিয়ত জর্জরিত হয়েও
যার মাঝে কোন অনুশোচনা থাকে না
দেশের প্রতি কৃতঘ্নতার বদলে যন্ত্রণা ভরা মৃত্যুই যার পছন্দ
আমি সেই দৃঢ়চেতা স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে এক বিস্মৃত বীরাঙ্গনার কথা
নিজের প্রতিটি অঙ্গে কালিমা ধারণ করেও
যে অপেক্ষা করে এক পবিত্র বিজয়ের
হায়েনার কালিমালিপ্ত স্পর্শের বদলে যে মৃত্যুকে বেছে নেয়
আর যে তীব্র যন্ত্রণার মাঝে অপেক্ষা করে বিজয়ের
আমি সেই পবিত্রতাকে ধারণ করে স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে আমার মাতৃভূমির প্রতিটি বীরত্ব-গাথা
প্রতিটি পরাজয়ের মাঝে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত বিপ্লব
যা আমাকে বারবার দিয়েছে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়
যারা পরাজিত হতে জানে, কিন্তু হারতে জানে না
আমি সেই বিপ্লবী চেতনা নিয়ে স্বাধীনতা চাই
যখন আমি স্বাধীনতা শব্দটি মনে করি
আমার মনে পড়ে আমার ষোল কোটি হৃদয়কে
যাদের নিয়ে আমি স্বাধীনতাকে অনুভব করি
যাদের মাঝে আমি খুঁজে পাই নব-বিজয়ের উন্মাদনা
যাদের মাঝে আমি খুঁজে পাই আমার প্রাণের স্বাধীনতা
আমি সেই বিজয়-মাখা স্বাধীনতা চাই
Comments
Post a Comment