কান্নাঘর
হ্যাঁ!
ভেতরে
চলে এসো!
ঠিকই
ধরেছ তুমি। আমিই কান্নাঘর।
দরজা
বন্ধ কর। নীরবে;
নিঃশব্দে।
পিনপতন
নীরবে শুরু কর সব কথা। আমি
শুনছি সবই।
হ্যাঁ,
আমি
কান্নাঘর। তোমার কান্নাদের
ধারণ করি আমাতে।
তোমার
কষ্টগুলো বলতে এসেছ তুমি।
কান্নাঘর শুনছে সব।
ফেল
সব জল। আমার ঘরের মেঝে সব জল
শুষে নেয়।
তোমার
কান্নাদের এবং শব্দদের গাঁথে
আমার দেয়াল
নিজের
মাঝে। এবং হত্যা করে বাতাস
থেকে সব কম্পন।
সবকিছু
বলা শেষ?
বেশ!
তবে
ফিরে যাও।
নিজের
মনের দিকে বারেক তাকাও তুমি।
ওতে
কষ্টেরা নেই। নেই কোন যন্ত্রণা।
কোন কান্নাও নেই।
হ্যাঁ,
আমি
কান্নাঘর সবটা শুষে নিয়েছি।
তুমি
এই পৃথিবীর সুখিদের একজন।
এই
বার ফিরে যাও।
হাসিমুখে
থেকো সুখে।
এই
শোন!
শুনে
যাও।
চলে
গেলে?
শুনলে
না।
আমিই
আমাকে বলি,
“কান্নাঘর,
জানো
কী?
কান্নাঘরের
কভূ কাঁদতে ইচ্ছে করে।
কান্নাঘরের
জল,
কেউ
কখনো দেখেন।
কান্নাঘরের
মেঝে সব জল শুষে নেয়।
রয়ে
যায় সেখানেই।
কান্নাঘরের
মনে।”
Comments
Post a Comment