পিশাচ
বিচার কি ওরা করেছিল?
কাঠগড়ায় দাড়িয়ে
প্রমাণ হাজির করেছিল আমাদের বিরুদ্ধে?
ক্রমাগত কাঠফাটা রোদে,
রাজপথের ধারে দাড়িয়ে
ওরা কি বিচার দাবি করেছিল,
এই বাংলার অসহায় মানুষগুলোর?
করেনি।
ওরা এক অবিশ্বাস্য নির্মমতায়,
নিজের ভাইকে নিজ হাতে খুন করছিল।
হ্যাঁ, ওরা খুনি।
ওরা শকুন।
ওরা পশু।
ওরা পশুরও অধম।
ওরা পিশাচ।
আমায় মানবতাবাদী হতে বল?
আমি বিবেকহীন?
হ্যাঁ, আমি তাই।
আমি বিবেকহীন পশু।
আমি মানুষের প্রতি দয়া দেখাই।
পশুর প্রতি নয়।
আমি সেখানে ছিলাম,
যখন কাঠগড়ায় দাড়িয়ে
এক পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা বলে চলে
তার রক্তাক্ত অভিজ্ঞতা।
পাকিস্তানী হায়েনাদের নিশ্চিহ্ন করে,
সে পরাজিত হয় তার স্বজাতির কাছে।
ওদের মানুষ বলবে?
দুঃখিত! আমি পারব না।
আমি সেই দলে ছিলাম,
যখন কাঠফাটা রোদে
এদেশের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা
মানব-বন্ধন করে ওদের বিচারের দাবিতে।
তা’কি দেখতে পাওনি।
তার পরেও তুমি বলবে,
আমি অপেক্ষা করব
এক গৎবাঁধা বিচারের শেষ দিন অবধি?
আমি পারব না।
এই পশুগুলোর প্রতি ঘৃণায় আজ আমি
পশুরও অধম।
যদি একবার ওদের হাতের কাছে পেতাম!
যদি শুধু একবার!
আমি নিজহাতে ওদের খুন করতাম।
এই হাতে আমি রক্ত মাখতাম।
কুৎসিত, হায়েনার রক্ত।
যার প্রতিটি কণায় মিশে আছে বিশ্বাসঘাতকতা।
আমি ওদের বুক থেকে কলজেটা ছিঁড়ে আনতাম।
দীর্ণ-বিদীর্ণ করে দেখতাম,
তার মাঝে এক ফোটা ভালবাসা আছে কি’না?
আমি সেই চেতনায় ছিলাম।
যখন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার
সমগ্র বাঙালির কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল একটি দাবি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।
না! এখন আর তা চাই না!
এখন আমি শুধু একবার
আমার হাতটা পিশাচের রক্তে রঞ্জিত করতে চাই।
আমি নিজহাতে একদল শকুনকে হত্যা করতে চাই।
আমি নিজহাতে একদল পশুকে হত্যা করতে চাই।
আমি নিজহাতে একদল পিশাচকে হত্যা করতে চাই।
না! আমি তো খুনি নই।
আমি তো পশু হত্যা করব।
কাঠগড়ায় দাড়িয়ে
প্রমাণ হাজির করেছিল আমাদের বিরুদ্ধে?
ক্রমাগত কাঠফাটা রোদে,
রাজপথের ধারে দাড়িয়ে
ওরা কি বিচার দাবি করেছিল,
এই বাংলার অসহায় মানুষগুলোর?
করেনি।
ওরা এক অবিশ্বাস্য নির্মমতায়,
নিজের ভাইকে নিজ হাতে খুন করছিল।
হ্যাঁ, ওরা খুনি।
ওরা শকুন।
ওরা পশু।
ওরা পশুরও অধম।
ওরা পিশাচ।
আমায় মানবতাবাদী হতে বল?
আমি বিবেকহীন?
হ্যাঁ, আমি তাই।
আমি বিবেকহীন পশু।
আমি মানুষের প্রতি দয়া দেখাই।
পশুর প্রতি নয়।
আমি সেখানে ছিলাম,
যখন কাঠগড়ায় দাড়িয়ে
এক পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা বলে চলে
তার রক্তাক্ত অভিজ্ঞতা।
পাকিস্তানী হায়েনাদের নিশ্চিহ্ন করে,
সে পরাজিত হয় তার স্বজাতির কাছে।
ওদের মানুষ বলবে?
দুঃখিত! আমি পারব না।
আমি সেই দলে ছিলাম,
যখন কাঠফাটা রোদে
এদেশের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা
মানব-বন্ধন করে ওদের বিচারের দাবিতে।
তা’কি দেখতে পাওনি।
তার পরেও তুমি বলবে,
আমি অপেক্ষা করব
এক গৎবাঁধা বিচারের শেষ দিন অবধি?
আমি পারব না।
এই পশুগুলোর প্রতি ঘৃণায় আজ আমি
পশুরও অধম।
যদি একবার ওদের হাতের কাছে পেতাম!
যদি শুধু একবার!
আমি নিজহাতে ওদের খুন করতাম।
এই হাতে আমি রক্ত মাখতাম।
কুৎসিত, হায়েনার রক্ত।
যার প্রতিটি কণায় মিশে আছে বিশ্বাসঘাতকতা।
আমি ওদের বুক থেকে কলজেটা ছিঁড়ে আনতাম।
দীর্ণ-বিদীর্ণ করে দেখতাম,
তার মাঝে এক ফোটা ভালবাসা আছে কি’না?
আমি সেই চেতনায় ছিলাম।
যখন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার
সমগ্র বাঙালির কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল একটি দাবি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।
না! এখন আর তা চাই না!
এখন আমি শুধু একবার
আমার হাতটা পিশাচের রক্তে রঞ্জিত করতে চাই।
আমি নিজহাতে একদল শকুনকে হত্যা করতে চাই।
আমি নিজহাতে একদল পশুকে হত্যা করতে চাই।
আমি নিজহাতে একদল পিশাচকে হত্যা করতে চাই।
না! আমি তো খুনি নই।
আমি তো পশু হত্যা করব।
Comments
Post a Comment