নিঃসঙ্গ
আমার কাছে সার্থক কোন সূচনা নেই
এক বৃত্তের মত অগোছাল জীবন কাহিনি
যার শুরু বা শেষ আমি নিজেই কখনও খুঁজে পাইনি
হিংস্র তরঙ্গগুলোর মাঝে
নিঃশঙ্ক, একাকী এক দ্বীপের মত নিঃসঙ্গ হৃদয়
ক্রমাগত অজস্র মিথ্যের আঘাতে সে আজ মৃতপ্রায়
সহস্রাব্দ ধরে যেন অপেক্ষায় আছে কোন এক পথহারা তরীর
নিজের মাঝে নিজেকে ক্রমশ লুকিয়ে রেখে
এক উদভ্রান্ত উটপাখির মত বালুতে মাথাটুকু গুজে দিয়েছিলাম
হিংস্রতায় পরিপূর্ণ হাঙ্গরের মত
যখন আমায় গ্রাস করতে চেয়েছিল হীনমন্যতা
আমি তার থেকে লুকিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলাম
তবু, পথ ভুল করে আমি তার আরও কাছে এসেছিলাম
এক ভ্রান্তির প্রাসাদে একাকী আমি
আমি চেয়েছিলাম এক উচ্ছৃঙ্খল জীবন
যেখানে প্রেম থাকবে, থাকবে ভালবাসা
আর বন্ধুত্ব সর্বদা আমায় আগলে রাখবে
আমার প্রতিটি ভুলের আগে
প্রতিটি দুঃসময় আর দুর্যোগ মাঝে
কেউ তার হাতটি আমার প্রতি বাড়িয়ে দেবে
তবু, অসীমের যাত্রির মতই আমি দিগন্তকে ছুতে পারিনি
আমার জগৎ তৈরি করতে হয়েছে চারটি দেয়ালকে নিয়ে
আমায় ঘিরে সবার স্বপ্নশৃঙ্গ
আমাকে প্রতিমুহুর্তে নির্মমভাবে পিষ্ট করেছে
আমার হৃদয় চিৎকার করে কেবলই কেঁদেছে
আমি নিজেও তা শুনতে পাইনি
এক নির্জীব কয়েদীর মত; যেন কেবলই বোধহীন
যখন কোন জানালার ছোট্ট কোণে
এক টুকরো ভাঙ্গা আয়না থেকে ফিরে আসা আলো
আমি অনুভব করেছি
এক মুমূর্ষ প্রাণের মত আমি তাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছি
হয়ত বা আমার স্পর্শেই তা সহস্র টুকরো হয়ে গেছে
আমার জীবনের প্রতিটি অবলম্বন আমার সাথে কৃতঘ্নতা করেছে
আমি আমার অনুভূতি কাউকে বলতে পারিনি
কেউ তা অনুভব করতে এগিয়ে আসেনি
আমার অজস্র সত্ত্বা আমার প্রতি ক্রুর হেসেছে
আমি নিঃশব্দে খুঁজে ফিরেছি কোন এক আশ্রয়স্থল
প্রতি পদে ব্যার্থ হয়েছি
যাদের আমি ভেবেছি আমার শ্রেষ্ঠ ঐশ্বর্য্য
তারাই বারেবারে এসে আমাতে সৃষ্টি করেছে মহাপ্রলয়
নির্বোধ আমি
তবু, নিঃসঙ্গতা শব্দেই শিউরে উঠতাম
বারবার আমি অনুভব করেছি
সৃষ্টির মাঝে আমি কতটা অপ্রয়োজনীয়
যেন এক অবাধ্য জÄvলের মত জোর করে ধরায় পড়ে আছি
তাই বারবার ধ্বংস করে দিতে চেয়েছি এই নশ্বর সত্ত্বাকে
সাহস হয়নি
হয়ত বা সবচেয়ে সহজ কাজটা করার সাহসই
সৃষ্টিকর্তা আমায় দেননি
হয়ত বা আমি তাকে কেড়ে নিতে পারিনি
যখনই আমি অনুভব করেছি আমার অপ্রয়োজনীয়তা
তখনই আমি অনুভব করেছি আমি কতটা অসহায়
আমি জানি
আমার এই কবিতা কেউ কোনদিন পড়বে না
কেউ অনুভব করবে না এই স্মৃতিগুলো
কেউ চিনবে না আমায়
তাই আমি আজ নিঃশঙ্কোচে লিখে রাখব আমার সকল অনুভূতি
আমার সকল স্মৃতি
যখন থেকে স্রষ্টা জোর করে আমায় পাঠিয়েছিলেন এই পৃথিবীতে
প্রকৃতি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল বাধা দিতে; পারেনি
আমার প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট স্রষ্টা আমায় অকারণে রক্ষা করেছেন
আমায় সতর্ক করেছেন সকল ভুল পদক্ষেপের আগে
আমার প্রতি যদি তার এতটাই করুণা
তবে, আমার এই অনুভূতিগুলো কি তিনি জানেন না?
না’কি কোন মহান উদ্দেশ্যে আমায় বিশুদ্ধ করছেন?
আমি তো জানি
ভার বহনে আমি কতট অক্ষম!
আমার হৃদয় কতটা দুর্বল তা আমার জানা
আমার শ্রেষ্ঠ ঐশ্বর্য্যগুলোই যখন আমায় উপহাস করে
আমার হৃদয়ের বোবা কান্না কি তিনি শুনতে পাননা?
যখন হীনমন্যতা হিংস্র স্রোতের মত
ক্রমাগত আঘাত করে ছোট্ট বালুচরে
আমি তা সহ্য করতে পারিনা
আমার জীবনটা এতটাই মূল্যবান
আজ মনুষ্যত্বের বেড়াজাল ছিন্ন করে যখন আমি
হয়ে উঠতে চাই আদিমতম কোন এক প্রাণী
তখন আমার মাঝে থেকে কেউ আমাতে প্রভুত্ব করে
আমি চাইলেও আমি হতে পারিনি
আমি চাইলেও আমি হতে পারিনা
আমি চিৎকার করে উঠি একটু স্বাধীনতার জন্য
আমার এ জীবন কি আমার নয়?
কেন আমি আমি নই?
চিরকাল এক ক্রীতদাসের মত
অন্যের ইচ্ছে পুরণার্থেই কি আমার জন্ম?
কেবল অন্যের উপহাসের জন্যেই কি আমার সৃষ্টি?
আমি কি আমি হতে পারিনা?
আমি কেন বারবার চেষ্টা করেও আমার হতে পারিনা?
আমি কেবলই আমি হতে চাই
আমার এই কবিতাটা অবলম্বন করে
আমি কেবলমাত্র একটা নিঃশ্বাস নিতে চাই
আমি কেবলই আমার মত বাঁচতে চাই
উচ্ছৃঙ্খল, উন্মত্ত, উদ্ভ্রান্ত তবু, স্বাধীন মুক্ত
একটুখানি আমার জগতে, আমার কল্পনার বিশাল জগতে
একটু ভালবাসা
আর একটুখানি সহমর্মী বন্ধুত্বের ছোয়া নিয়ে
আমি আমার থেকে বিদায় নিতে চাই
নিশ্চই তা খুব বেশি চাওয়া নয়!
এক বৃত্তের মত অগোছাল জীবন কাহিনি
যার শুরু বা শেষ আমি নিজেই কখনও খুঁজে পাইনি
হিংস্র তরঙ্গগুলোর মাঝে
নিঃশঙ্ক, একাকী এক দ্বীপের মত নিঃসঙ্গ হৃদয়
ক্রমাগত অজস্র মিথ্যের আঘাতে সে আজ মৃতপ্রায়
সহস্রাব্দ ধরে যেন অপেক্ষায় আছে কোন এক পথহারা তরীর
নিজের মাঝে নিজেকে ক্রমশ লুকিয়ে রেখে
এক উদভ্রান্ত উটপাখির মত বালুতে মাথাটুকু গুজে দিয়েছিলাম
হিংস্রতায় পরিপূর্ণ হাঙ্গরের মত
যখন আমায় গ্রাস করতে চেয়েছিল হীনমন্যতা
আমি তার থেকে লুকিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলাম
তবু, পথ ভুল করে আমি তার আরও কাছে এসেছিলাম
এক ভ্রান্তির প্রাসাদে একাকী আমি
আমি চেয়েছিলাম এক উচ্ছৃঙ্খল জীবন
যেখানে প্রেম থাকবে, থাকবে ভালবাসা
আর বন্ধুত্ব সর্বদা আমায় আগলে রাখবে
আমার প্রতিটি ভুলের আগে
প্রতিটি দুঃসময় আর দুর্যোগ মাঝে
কেউ তার হাতটি আমার প্রতি বাড়িয়ে দেবে
তবু, অসীমের যাত্রির মতই আমি দিগন্তকে ছুতে পারিনি
আমার জগৎ তৈরি করতে হয়েছে চারটি দেয়ালকে নিয়ে
আমায় ঘিরে সবার স্বপ্নশৃঙ্গ
আমাকে প্রতিমুহুর্তে নির্মমভাবে পিষ্ট করেছে
আমার হৃদয় চিৎকার করে কেবলই কেঁদেছে
আমি নিজেও তা শুনতে পাইনি
এক নির্জীব কয়েদীর মত; যেন কেবলই বোধহীন
যখন কোন জানালার ছোট্ট কোণে
এক টুকরো ভাঙ্গা আয়না থেকে ফিরে আসা আলো
আমি অনুভব করেছি
এক মুমূর্ষ প্রাণের মত আমি তাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছি
হয়ত বা আমার স্পর্শেই তা সহস্র টুকরো হয়ে গেছে
আমার জীবনের প্রতিটি অবলম্বন আমার সাথে কৃতঘ্নতা করেছে
আমি আমার অনুভূতি কাউকে বলতে পারিনি
কেউ তা অনুভব করতে এগিয়ে আসেনি
আমার অজস্র সত্ত্বা আমার প্রতি ক্রুর হেসেছে
আমি নিঃশব্দে খুঁজে ফিরেছি কোন এক আশ্রয়স্থল
প্রতি পদে ব্যার্থ হয়েছি
যাদের আমি ভেবেছি আমার শ্রেষ্ঠ ঐশ্বর্য্য
তারাই বারেবারে এসে আমাতে সৃষ্টি করেছে মহাপ্রলয়
নির্বোধ আমি
তবু, নিঃসঙ্গতা শব্দেই শিউরে উঠতাম
বারবার আমি অনুভব করেছি
সৃষ্টির মাঝে আমি কতটা অপ্রয়োজনীয়
যেন এক অবাধ্য জÄvলের মত জোর করে ধরায় পড়ে আছি
তাই বারবার ধ্বংস করে দিতে চেয়েছি এই নশ্বর সত্ত্বাকে
সাহস হয়নি
হয়ত বা সবচেয়ে সহজ কাজটা করার সাহসই
সৃষ্টিকর্তা আমায় দেননি
হয়ত বা আমি তাকে কেড়ে নিতে পারিনি
যখনই আমি অনুভব করেছি আমার অপ্রয়োজনীয়তা
তখনই আমি অনুভব করেছি আমি কতটা অসহায়
আমি জানি
আমার এই কবিতা কেউ কোনদিন পড়বে না
কেউ অনুভব করবে না এই স্মৃতিগুলো
কেউ চিনবে না আমায়
তাই আমি আজ নিঃশঙ্কোচে লিখে রাখব আমার সকল অনুভূতি
আমার সকল স্মৃতি
যখন থেকে স্রষ্টা জোর করে আমায় পাঠিয়েছিলেন এই পৃথিবীতে
প্রকৃতি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল বাধা দিতে; পারেনি
আমার প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট স্রষ্টা আমায় অকারণে রক্ষা করেছেন
আমায় সতর্ক করেছেন সকল ভুল পদক্ষেপের আগে
আমার প্রতি যদি তার এতটাই করুণা
তবে, আমার এই অনুভূতিগুলো কি তিনি জানেন না?
না’কি কোন মহান উদ্দেশ্যে আমায় বিশুদ্ধ করছেন?
আমি তো জানি
ভার বহনে আমি কতট অক্ষম!
আমার হৃদয় কতটা দুর্বল তা আমার জানা
আমার শ্রেষ্ঠ ঐশ্বর্য্যগুলোই যখন আমায় উপহাস করে
আমার হৃদয়ের বোবা কান্না কি তিনি শুনতে পাননা?
যখন হীনমন্যতা হিংস্র স্রোতের মত
ক্রমাগত আঘাত করে ছোট্ট বালুচরে
আমি তা সহ্য করতে পারিনা
আমার জীবনটা এতটাই মূল্যবান
আজ মনুষ্যত্বের বেড়াজাল ছিন্ন করে যখন আমি
হয়ে উঠতে চাই আদিমতম কোন এক প্রাণী
তখন আমার মাঝে থেকে কেউ আমাতে প্রভুত্ব করে
আমি চাইলেও আমি হতে পারিনি
আমি চাইলেও আমি হতে পারিনা
আমি চিৎকার করে উঠি একটু স্বাধীনতার জন্য
আমার এ জীবন কি আমার নয়?
কেন আমি আমি নই?
চিরকাল এক ক্রীতদাসের মত
অন্যের ইচ্ছে পুরণার্থেই কি আমার জন্ম?
কেবল অন্যের উপহাসের জন্যেই কি আমার সৃষ্টি?
আমি কি আমি হতে পারিনা?
আমি কেন বারবার চেষ্টা করেও আমার হতে পারিনা?
আমি কেবলই আমি হতে চাই
আমার এই কবিতাটা অবলম্বন করে
আমি কেবলমাত্র একটা নিঃশ্বাস নিতে চাই
আমি কেবলই আমার মত বাঁচতে চাই
উচ্ছৃঙ্খল, উন্মত্ত, উদ্ভ্রান্ত তবু, স্বাধীন মুক্ত
একটুখানি আমার জগতে, আমার কল্পনার বিশাল জগতে
একটু ভালবাসা
আর একটুখানি সহমর্মী বন্ধুত্বের ছোয়া নিয়ে
আমি আমার থেকে বিদায় নিতে চাই
নিশ্চই তা খুব বেশি চাওয়া নয়!
Comments
Post a Comment