এক শালিকের নীল গল্প
এক শালিকের গল্প ছিল নীলচে পাতায়।
আকাশ ছিল রাজ্যপট আর রাজত্ব তার মেঘ-কুয়াশায়।
ভবঘুরে ধূলো যেমন, পথরা যেমন, যেমন ঝরে ইলশেগুড়ি;
শালিকটাও উড়ত তেমন, ভিজত তেমন। গায় মাখাতো মেঘের কুঁড়ি।
আরেক ছিল পাথর-প্রাসাদ লাল পাহাড়ের চূড়ার ওপর।
উড়তে উড়তে একলা শালিক বসল এসে জানালার ’পর।
সেথায় ছিল মেঘবালিকা। রাজ্য তাহার অশ্রুর জল।
চার দেয়ালের নিরেট ঘরে থাকত নিয়ে আঁখি টলমল।
জানলাটা তার অলস সাথী। দিন কাটাতো ঠায় তাকিয়ে।
অনেকগুলো স্বপ্ন ছিল। কাটতো জীবন স্বপ্ন নিয়ে।
স্বপ্নগুলো স্বপ্ন হয়ে স্বপ্নেই রয়।
মেঘবালিকা, অশ্রুর জল, জানলাটা আর স্বপ্ন কেবল আর কেউ নয়।
অনেক উড়ে ভবঘুরে শালিক পাখি বসল এসে সেই জানালায়।
মেঘবালিকা দেখল তারে আসতে উড়ে নীল সীমানায়।
আদর করে ধান ছিটালো, বলল কথা, ঝরালো জল।
শালিক পাখি বুঝলনা বা বুঝল মেয়ের সব কোলাহল।
পালক দিয়ে মুছল তাহার অশ্রুজল আর দুঃখগাঁথা।
ইলশেগুড়ি কুড়িয়ে এনে দিল ধুয়ে মনের ব্যাথা।
মেঘবালিকা জল ঝরালো। শালিক দিল ছড়িয়ে ডানা।
অশ্রুজলে ভিজল ডানা। ভিজল হৃদয়। বুঝল শালিক এবার তাহার উড়তে মানা।
মেঘবালিকা দেখল আকাশ, যেথায় ছিল একলা শালিক।
তার স্বপনও তেমনি ছিল, মেঘরা যেমন দিক আর বিদিক।
এক নয়নে দেখত আকাশ। স্বপ্ন তখন অনেক বড়।
পাথর প্রাসাদ ছাড়িয়ে আকাশ। স্বপ্নেরা যায় তার ওপরও।
একলা শালিক এক নয়নে দেখত বসে মেঘবালিকার হৃদয় নগর।
ভিজত কম আর থাকত বেশি মেঘবালিকার জানালার ’পর।
মেঘবালিকা বলত তাকে স্বপ্নটা তার আকাশ ছোঁয়া।
থাকত যদি অমন ডানা মাখত গায়ে মেঘের ধোঁয়া!
শালিক কিছু ভাবল না স্রেফ ফেলল খুলে দু’টো ডানা।
লাগিয়ে দিল তাহার কাঁধে। ফেলল মুছে জানলা নামের শেষ সীমানা।
মেঘবালিকা উড়াল দিল। চোখ ধাঁধালো। অনেক আলো! অনেক আলো!
অনেক মেঘ আর অনেক পাখি। একলা থাকার দিন ফুরালো।
একলা শালিক একলা বসে সেই জানালায় দেখল তাহার নতুন জীবন।
এবার উড়ে মেঘের ’পরে বাঁধবে নিলয় — ভাবল কখন!
পরক্ষণেই দেখল শালিক, সত্যি সে এক নতুন জীবন!
মেঘবালিকা নেই আর এখন আগের মতন।
অনেক আলো। অনেক পাখি। অনেক ডানা চারপাশে তার।
সামনে তাকায়। সবটা দেখে। করবে কী সে, ভাবল আবার।
ভাবল আবার। ভাবল আবার। তার পরে সে সেঁধিয়ে গেল অন্ধকারে।
সবটা আলো মেঘবালিকার। শালিক থাকুক নীল আঁধারে।
ভবঘুরে ধুলোর মত সেই যে শালিক পাথর-ঘরে আঁধার মেখে
ইলশেগুঁড়ি, মেঘ-কুয়াশা, আকাশ ফেলে আঁধার দেখে।
আকাশ ছিল রাজ্যপট আর রাজত্ব তার মেঘ-কুয়াশায়।
ভবঘুরে ধূলো যেমন, পথরা যেমন, যেমন ঝরে ইলশেগুড়ি;
শালিকটাও উড়ত তেমন, ভিজত তেমন। গায় মাখাতো মেঘের কুঁড়ি।
আরেক ছিল পাথর-প্রাসাদ লাল পাহাড়ের চূড়ার ওপর।
উড়তে উড়তে একলা শালিক বসল এসে জানালার ’পর।
সেথায় ছিল মেঘবালিকা। রাজ্য তাহার অশ্রুর জল।
চার দেয়ালের নিরেট ঘরে থাকত নিয়ে আঁখি টলমল।
জানলাটা তার অলস সাথী। দিন কাটাতো ঠায় তাকিয়ে।
অনেকগুলো স্বপ্ন ছিল। কাটতো জীবন স্বপ্ন নিয়ে।
স্বপ্নগুলো স্বপ্ন হয়ে স্বপ্নেই রয়।
মেঘবালিকা, অশ্রুর জল, জানলাটা আর স্বপ্ন কেবল আর কেউ নয়।
অনেক উড়ে ভবঘুরে শালিক পাখি বসল এসে সেই জানালায়।
মেঘবালিকা দেখল তারে আসতে উড়ে নীল সীমানায়।
আদর করে ধান ছিটালো, বলল কথা, ঝরালো জল।
শালিক পাখি বুঝলনা বা বুঝল মেয়ের সব কোলাহল।
পালক দিয়ে মুছল তাহার অশ্রুজল আর দুঃখগাঁথা।
ইলশেগুড়ি কুড়িয়ে এনে দিল ধুয়ে মনের ব্যাথা।
মেঘবালিকা জল ঝরালো। শালিক দিল ছড়িয়ে ডানা।
অশ্রুজলে ভিজল ডানা। ভিজল হৃদয়। বুঝল শালিক এবার তাহার উড়তে মানা।
মেঘবালিকা দেখল আকাশ, যেথায় ছিল একলা শালিক।
তার স্বপনও তেমনি ছিল, মেঘরা যেমন দিক আর বিদিক।
এক নয়নে দেখত আকাশ। স্বপ্ন তখন অনেক বড়।
পাথর প্রাসাদ ছাড়িয়ে আকাশ। স্বপ্নেরা যায় তার ওপরও।
একলা শালিক এক নয়নে দেখত বসে মেঘবালিকার হৃদয় নগর।
ভিজত কম আর থাকত বেশি মেঘবালিকার জানালার ’পর।
মেঘবালিকা বলত তাকে স্বপ্নটা তার আকাশ ছোঁয়া।
থাকত যদি অমন ডানা মাখত গায়ে মেঘের ধোঁয়া!
শালিক কিছু ভাবল না স্রেফ ফেলল খুলে দু’টো ডানা।
লাগিয়ে দিল তাহার কাঁধে। ফেলল মুছে জানলা নামের শেষ সীমানা।
মেঘবালিকা উড়াল দিল। চোখ ধাঁধালো। অনেক আলো! অনেক আলো!
অনেক মেঘ আর অনেক পাখি। একলা থাকার দিন ফুরালো।
একলা শালিক একলা বসে সেই জানালায় দেখল তাহার নতুন জীবন।
এবার উড়ে মেঘের ’পরে বাঁধবে নিলয় — ভাবল কখন!
পরক্ষণেই দেখল শালিক, সত্যি সে এক নতুন জীবন!
মেঘবালিকা নেই আর এখন আগের মতন।
অনেক আলো। অনেক পাখি। অনেক ডানা চারপাশে তার।
সামনে তাকায়। সবটা দেখে। করবে কী সে, ভাবল আবার।
ভাবল আবার। ভাবল আবার। তার পরে সে সেঁধিয়ে গেল অন্ধকারে।
সবটা আলো মেঘবালিকার। শালিক থাকুক নীল আঁধারে।
ভবঘুরে ধুলোর মত সেই যে শালিক পাথর-ঘরে আঁধার মেখে
ইলশেগুঁড়ি, মেঘ-কুয়াশা, আকাশ ফেলে আঁধার দেখে।
Comments
Post a Comment