পারস্পরিক নৃশংশতা

অথচ আমাদের কতগুলান শব্দ জমা হয়া ছিলো। 

বলা হইলো না।

কিছুই বলা হইলো না।


নিশিবকের ঠোঁটের রংটা দেখা হইলো না।

কাঁঠাল পাতার শুকনা ঘ্রাণটা শোঁকা হইলো না।

মাঘসংক্রান্তির কুয়াশা জড়ানো হইলো না।

এক বিকেল নিস্তরঙ্গতায় ঘুমানো হইলো না।

শ্যাওলা পড়া দেয়ালটার দুই পাশে যে দুইটা কুকুর রাজ্য আছে

তাদের কাউরেই জাতিভেদের অপকারিতা বোঝানো হইলো না।


অবশ্য আমরা নিজেরাই কখনও বুঝে উঠতে পারি নাই

মানুষভেদের অপকারিতা।

মানুষভেদের দীনতা।

মানুষভেদের নৃশংসতা।

আমরা পাশাপাশি হাঁটছি, ঘুরছি, ফিরছি।

লোকলজ্জারে বুইড়া আঙ্গুল দেখায়া মাঝরাস্তায় চুমু খাইছি।

তারপরও দুইজনের মাঝখানে রাইখা দিছি

দুই নারিকেল গাছ পরিমাণ ব্যবধান।

দুইজনের মাঝখানের ভেদাভেদ রাবার দিয়া মুইছা

হৃদপিণ্ডটারে খাঁমচে আঁকড়ায় ধরার সাহস করি নাই আমরা কেউই।

কখনই করি নাই।

আমরা নিজেদের ওপর আরোপ কইরা রাখছি নৃশংস এক দৈন্য।


অথচ আমাদের কতগুলান স্বপ্ন জমা হয়া ছিলো।

দুঃস্বপ্ন ছাড়া তার কিছুই শোনা হইলো না।

কিছুই দেখা হইলো না।

Comments

Popular posts from this blog

নিকষ

বাংলা কবিতায় ছন্দ ; কিছু প্রাথমিক আলোচনা

স্বাতন্ত্রিক