শ্রাবন্তিকা চাইতো শ্রাবণ অঝোর মতন।

ঠিক যতটায় আকাশ ভাঙ্গে,

ঠিক যতটায় মেঘরা রাঙ্গে কালচে রকম।

তাইতো বুঝি তার দু চোখে রয় লুকিয়ে

পাঁপড়ি ভাঙ্গা অশ্রুপাবন

অলিন্দটার রূপকথাদের সঙ্গে নিয়ে।

মেঘের মত কালচে আঁকা তীব্র চোখে

শ্রাবন্তিকা ঠায় তাকিয়ে

থাকতো কেবল ঝুম অঝোরের বৃষ্টিশোকে।


আর শ্রাবণের লাগতো ভাল ইলশে গুঁড়ি।

দু'এক ফোঁটা দ্রোহী চুলে

আর কতটা ঝাপটা মাতাল মেঘের নুঁড়ি।

সেই ছেলেটা বোশেখ ঝড়ে যেমন শালিক

খুব মাতাল আর ঝঞ্ঝাক্ষোভে

ফের খুঁজে নেয় অলিন্দ এক। নিক খুঁজে নিক।

অলিন্দটায় শ্রাবন্তিকার অশ্রুপাবন

খেলতো মেঘ আর নীরের খেলা,

ভাঙ্গতো আকাশ, ভাঙ্গত ভাঙ্গন, ভাঙ্গত আপন।


দেখল শ্রাবণ ঢের হয়েছে বোশেখ খেলা।

শ্রাবন্তিকার কালচে চোখে

একটু করে বুলিয়ে দিল শরৎ ভেলা।

ফোঁটায় ফোঁটায় খুবলে নিলো মেঘের নুঁড়ি।

থর-বিথরে ছুড়ল সেসব

শ্রাবন্তিকা চিনলো তখন ইলশেগুঁড়ি।

যেমন করে মাতাল শালিক ছড়ায় ডানা,

সেই শ্রাবণের নীলচে সে শার্ট

থাকতে কোথাও অশ্রুপাবন ঝরতে মানা।

Comments

Popular posts from this blog

নিকষ

বাংলা কবিতায় ছন্দ ; কিছু প্রাথমিক আলোচনা

স্বাতন্ত্রিক